প্রিয় বন্ধুরা আজকের পোষ্টটি করলাম

জেনে নিন ক্যান্সারের ১০টি লক্ষণ


শুরুতেই চিহ্নিত করা গেলে অনেক দুরারোগ্য রোগের হাত থেকেই নিস্তার মেলে। এ রকমই ক্যান্সারের একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ের ১০টি লক্ষণ আছে। অবহেলা না করে একটু নজর দিলেই আপনি চিনে ফেলতে পারেন এ মরন-ব্যাধিকে।

১. ফুসফুসে ক্যান্সারের প্রথম লক্ষণই হলো শ্বাসকষ্ট। যাদেরই এই রোগ হয় তারাই শুরুতে
বলেন, শ্বাস নিতে গিয়ে যেন বাতাসের অভাব বোধ করছেন। অনেকে বিষয়টাকে হাঁপানির সাথে গুলিয়ে ফেলেন!

২. কাশি আর ব্রঙ্কাইটিস- দুটিই লাং ক্যান্সার আর লিউকেমিয়ার কমন ‘ফ্যাক্টর’। আবার সাধারণ ব্রঙ্কাইটিস হলেও কাশি আর বুকে ব্যথা হয়। পার্থক্য বুঝবেন কী করে? ব্রঙ্কাইটিসের কাশি আর বুকে ব্যথা চিকিৎসায় সেরে যায়। যখনই তা সারে না, বুঝবেন ব্যাপারটা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে।

৩. লিউকোমিয়ায় রক্তে শ্বেত রক্ত কণিকার পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় শরীর চট করে সংক্রমণজনিত রোগে কাবু হয়ে পড়ে। যেমন, জ্বর, ফ্লু বারবার হতে থাকে।

৪. খাবার গিলতে অসুবিধা হচ্ছে? লক্ষণটা সার্ভাইকাল বা লাং ক্যান্সারের প্রথম ধাপ হলেও হতে পারে।

৫. শরীরের কোথাও আচমকা গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া লিম্ফ্যাটিক সিস্টেম পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। এটা ক্যান্সারের পূর্ব লক্ষণ হতেও পারে। যেমন বগলের নিচে ব্যথাযুক্ত গ্ল্যান্ড দেখা দিলে ব্রেস্ট ক্যান্সার, কুঁচকি বা ঘাড়ে এরকমটা হলে লিউকেমিয়া হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।

৬. কোনো আঘাত ছাড়াই শরীরে কালশিরা বা কালশিটে দাগ দেখা দেয়া লিউকেমিয়া-কেই মনে করায়। সেইসঙ্গে মুখে, ঘাড়ে, বুকে লাল স্পট দেখা দিলে খুব সহজভাবে নেবেন না ব্যাপারটাকে।

৭. পেটে ঘিনঘিনে ব্যথা মানেই ‘সিস্ট’ হয়েছে ভেবে উড়িয়ে দেবেন না। এই ব্যথা যেকোনো ধরনের ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ হতে পারে।

৮. রেক্টাম দিয়ে বা মলের সঙ্গে রক্তপাত সাধারণত কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ। তাই এরকম কিছু হলে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

৯. ডায়েটিং বা শরীরচর্চা ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া কোলন ক্যান্সারের লক্ষণ নয় তো! কারণ, এই রোগে খাওয়ার ইচ্ছে কমে যায়। ফলে বিনা কারণে ওজন কমতে থাকে।

১০. আরো একটা গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ নখের রং পাল্টে যাওয়া। অনেক রকমের ক্যান্সারেরই এটা প্রাথমিক লক্ষণ। যেমন, নখে বাদামি বা কালো রেখা বা ছিটে দাগ ত্বকের ক্যান্সারের কথাই বলে। আবার নখের রং বিবর্ণ হলে বুঝতে হবে লিভার ঠিকঠাক কাজ করছে না। এটা লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ।